শ্রীশুভ্র







প্রথম আলো 



এখন কেমন লাগছে
বলুন! গঙ্গার ঘাটে অস্থি
বিসর্জনের রাতে
নীরার চোখে পলক পড়েনি
দেখেছেন?
একা এবং কয়েক জনের
ভিড়ে ধুপ আর ধূনোর
আধাঁরে নীরাকে
ঠিক কেমন দেখলেন তখন!
উদোম হাওয়ায় আঁচল ওরা
নারী? আকাশের নীল
সাঁতরে সাঁতরে
বাংলার শেষ সলতেতে
প্রেমের আগুন জ্বেলে
স্থিরনেত্র?
নাকি রিমোটে লাইভ
কভারেজে লবণাক্ত
শয্যায় ডুবে যেতে যেতে
স্মৃতির হালখাতা খুলে খুলে....!
জীবনের গল্পগুলোকে
ঠিক যেভাবে সাজানো
যায় এক মানুষ জীবনে!
ইচ্ছের ঢেঁকিতে কুটে কুটে
তৃপ্তির রঙে!
সেই ভাবেই হয়ত
তবুও মানুষ নীললোহিত
ঘোরে দেখে নেবে
নীরাদের! মেট্রোর অফিসটাইম থেকে
নীমতলার লাইনে!
জন অরণ্যের সীমাবদ্ধ
প্রস্তুতিতে জ্বেলে দিতে
প্রথম আলো?


"শেষ যাত্রার শেষে!"



নীললোহিতের অন্তিম যাত্রায়
নীরা আর আসেনি!
জন অরণ্যের ভিড় দেখেছে
সে অসমর্থ্য শরীরে!
দুপুরের খাওয়া
পড়ে ছিলো ঢাকা দেওয়া!
তেমনি!
চার দেওয়ালের সীমানায়
গুঁড়ো গুঁড়ো সুখের স্মৃতি
অসুখ বুকে টিভির পর্দায়!
শান্ত শকটে সুনীল আকাশ
জন অরণ্যে তখনো
কি একা?
জীবনের পর্ব থেকে পর্বে
পায়ে পায়ে শুধু
মায়া কাটানোর খেলা!
কাঁচাপাকা স্মৃতির সময়
নিয়ে ঠোঁটে,
নীরার অস্ফূটে; ভালো
থাকবে হয়ত নীললোহিত!
 বাঁধানো খাতাগুলোর
জমা ধুলো মাড়িয়ে
নীরার পায়ের ছাপে
আর এক গল্প হয়ত
শুরু হবে নীললোহিতের
ভূবন জুড়ে!
পীস হাভেন থেকে বৈদ্যুতিক
চুল্লীর দূরত্বে
নীরারা বসে থাকে
নীললোহিত নিয়ে প্রশস্ত বুকপথ জুড়ে তখনো!

কলকাতা । 


Previous Post Next Post

বিজ্ঞাপন