এ বি এম সোহেল রশিদ







সব বসন্ত জমা রেখেছি

প্রজন্মের বিচ্ছুরিত আলোয় পরিশুদ্ধ করবো বলে
আমার সব বসন্ত জমা রেখেছি শাহবাগ চত্বরে
ক্ষমতা-লিপ্সু নতজানু রাজনীতির কোলাহলে
এতদিন বুকের ভিতর সুপ্ত ছিল মৌলিক দাবী।
প্রতিবাদের পল্লবে পল্লবে সবুজ আজ দেহবৃক্ষ
শাহবাগের তাপে পুড়ে গেছে রোগাক্রান্ত ডালপালা
তারুণ্যের দ্রোহে জেগেছে বিবেকের ‘আগুনফুল’
জেনেছি সব ভুলের ক্ষমা নেই! নেই কোন আপোষ!
মায়ের সম্ভ্রম লাঞ্ছিতকারীদের ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি
পূর্বপুরুষের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি
দেখ সব পথ সব মত মিশেছে তারুণ্যের মিছিলে
হাজার ফুলের প্রতিবাদের লাল ছোপ শাহবাগ বসন্তে।


রক্তের সাথে প্রহসন চলবে আর কতকাল? 

গগনবিদারী উচ্চারণ!দারুণ সমীকরণ! চলছে দুষ্ট গ্রহণ
উল্টোরথে বাক্যবাণে হচ্ছে দেশদ্রোহীর লঘুদণ্ড!আজব কাণ্ড!
অবাক বিস্ময়! জানি প্রভাবশালীদের স্পর্শ করার নয়!
প্রভাবশালী রাজাকার সহজেই দেশান্তরী! ব্যর্থ সীমান্ত প্রহরী!
সোনার খাঁচায় সুখনিদ্রায় দুর্বৃত্ত! প্রহসনের কারাগারে বন্দি!
চলছে আয়োজন! ক্ষমতার স্বার্থে প্রয়োজন! বাঁচানোর ফন্দি!
আইনের বেড়াজালে কেউ নয় বেসামাল! সাধু সাবধান!
দু’চোখের রক্তবৃষ্টি! স্পর্শ করে না ‘জননী তুল্য স্বভূমি’
হৃদয়ে প্রবাহিত সুপ্ত নদী! সর্বত্র ক্ষমতা পিশাচের নজরদারি
অধম আমরা! ওদের চোখে অর্বাচীন! অশেষে জেনেছি সেদিন!
স্বীকৃত রাজাকারের যাবজ্জীবন! বিচারের নামে এ কি প্রহসন?
হত্যাকারীর ভুল সংজ্ঞা! আঁতকে উঠে বুক!শুকায় মুখ!
শত রমণীর কৌমার্য গ্রাসকারীরা নয় ধর্ষক!রাষ্ট্রীয় মেহমান
পশুত্বের ইতিবৃত্ত শুনে ভাদ্রের কুকুর লজ্জায় দেয় আত্মাহুতি!
দেখ জাগ্রত নতুন প্রজন্ম! আর নয় কান্না!আর নয় করুণা!
প্রজ্বলিত অধিকারের মোম।আলোর বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়
ভেসে যাবে গোপন আঁতাত!জননীর সাথে করা সব অপরাধ
ফিরে যাব বাহান্ন কিংবা একাত্তরে! রক্তঋনের দিতে হবে শোধ
তারুণ্যের উচ্চারণে প্রতিধ্বনিত হবে প্রাণ-স্পর্শী আহাজারি!
শুন প্রজন্মের জিজ্ঞাসা, কতটা খুন করলে জুটবে ফাঁসির দড়ি?
কত শত ধর্ষণে হব ধর্ষিতা!বিচারে ধর্ষকের হবে প্রাণসংহার?
বলতে পার ত্রিশ লক্ষ রক্তের সাথে প্রহসন চলবে আর কতকাল?

ঢাকা ।

Previous Post Next Post

বিজ্ঞাপন