মৌসুমী সেন








“ মঙ্গলালোকে দুর্গতিনাশিনি ”

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~


শব্দেরা-
আজ আর আমার হাতের পুতুল নয়,
তাকে ইচ্ছে হলেই-
আমি সাজাতে পারিনা খেয়ালে খুশীতে;
অথচ তুমি-
তেমনি আছো আঁধারের পথে সিক্ত!

আশ্চর্য এক আলো আঁধারীর পথ নিরুপনে-
তুমি বার্তা নিয়ে এলে দশেরার মেলা দেখবার।
সাদা সাদা মেঘ টুকরোর অমোঘ আমন্ত্রনে
জানাতে এলে ষষ্ঠী পূজোর অধিবাসে_
আমন্ত্রনের ঘটায় মায়ের আগমনী বার্তা।

দুর্গতিনাশিনি’র আগমনে-
পৃথিবী লোক সাজে আলোক বর্তিকায়,
দেবলোকে বেজে উঠে অনিবার্য মাদলের শব্দ;
আদি পুরোহিত’রা নিজেকে প্রতিষ্ঠার দাবীদারে-
আড়ম্বরে ফিরিস্তিতে লোকালয়ের মানব হৃদয়ে
ছড়িয়ে দিতে ব্যস্ত ধর্ম বিশ্বাসের স্ফুলিঙ্গ।

অন্তরাল মুখরিত-
নববস্ত্র পরিধানের আয়োজনে,
পবিত্র উৎসবে’র বার্তায়-
স্বজন আগমনে সাজে গৃহশয্যার সাজ;
অবিরত উচ্ছলতায়-
পূজামন্ডবে ঈশ্বরী আগমনের সমাহার।

নিয়মের পাল ধরে দেবী আগমন-
জনসাধারনে সামর্থ্যের সাধ্যে ভাসে,
‘দেবী’ দর্শনে-
আকুল আবেদনে জ্বালিয়ে দেয় মঙ্গলদীপ ;
মনের কাঙ্খিত চাওয়ার রেশ ধরেই
মঙ্গলালোকের অরুন্ধুতির দ্যুতি ছড়াতে
ভক্তপ্রাণ আকুল প্রার্থনায়রত শারদ উৎসবে।
নির্মল ভিক্ষার প্রার্থনায় রত হয়ে
অঞ্জলী’তে সঁপে দেয়া ইচ্ছায়,
শান্তির ছাড়পত্রে লিখে দেবার বিশ্বাসেই
‘মা’ আসেন ধরায়।

দশরথে দশভূজি’র-
নৈবেদ্য চিন্তার অভিমূলে “সপ্তমী” সাজে,
“অষ্টমী’তে”-
মহা আড়ম্বরে কথোপকথনে দুর্গতিনাশিনী বীর যুদ্ধাপৃষ্ঠে;
“নবমী’তে”-
দ্যুতির শ্যামল শুভ্রতায় চলে পথ প্রদক্ষিণ।

আমার মনের কোণে-
সুপ্ত অভিমানে দশেরার চাঁদ ক্রন্দনরত,
একবুক বাসনার বিসর্জনে
অন্ধকার অমোঘ নিয়মের প্রশ্ন রেখে যায়,
বিসর্জনে’র “বিজয়া দেবী” উল্লাসে-
নাড়ু-নারকেল পিঠা উৎসবের নিয়মতন্ত্রে।

তবুও শেষ হয়না ভাবনার, চলে সমাহার;
বার্তার উত্তরে সাজাই শুভেচ্ছা শারদ বিজয়ার।।


চট্টগ্রাম 
♪♫•*¨*•.¸¸

Previous Post Next Post

বিজ্ঞাপন