
অন্ধ অবতার !!
মুখ তুইল্যা চাহ্ । কান পাইতা হুন -
ব্রহ্মাণ্ডে আইজকা একা নস । দ্যাশে বোবায় ধরছে
আরো মা’গোয় ।
মালতী , হাসছস !
এইহানো ভরসা নাই , বিপিনের মাইয়ার কাছে হুইন্যা দ্যাখ !
কাগজ পইরা হুনাইতেছিল ওর বাপেরে ।
সদরের ইউনিয়নে ছবিও দেইহ্যা আইল্যাম –
রাজা বাদশার শহর –
দুনিয়ার সব রঙিন আলোয় ঠ্যাইসা ঝকমক করা রাস্তা ।
ওরা কয় রাজপথ –
হেই নাহি আগল্যায় স্বদেশের বুক । ন্যাতাজি গান্ধীজী ‘র চরণ মাখা সড়ক ।
স্বদেশের সড়ক বাইয়্যা এইহেনো গলা ফাটায় আন্না , রাম , কত রঙ করা মুখ।
ব্যাবাক চিৎকারে কান খাড়া করানোই দ্যায় –
হেই হব্দ কানে লইয়াও খ্যারাইয়া থাহে , কত ফটোওলা।
ঝোলায় খুচুর খুচুর ছবি ভরে – হেই গুলাও বেইচ্যা খায় ।
আর অবতার ?
ভালো জিগাইছস মণি’র মা ।
হেতো আমাগো পাড়ার জগন্নাথ । ওরেই সব লোক ঘিইর্যা থাহে,
টু হব্দ কইরার জো নাই । মুখ টিইপ্যা টিইপ্যা কথা কয় – খালি ঘাড় নাড়ে
– যন্ত্র টিইপ্যাই সব দ্যাহে , কুনো ছাড় নাই । শালা ন্যাতার কথা ।
হেই নাহি সব জান্তা ।
আমি কই জানোয়ার – পিণ্ডি চটকাই তর ।
হে হে - ইউনিয়নে খলপার ব্যাড়ায় ঝোলা গান্ধী’ও হাসে
খিল খিল কইর্যা আমিও হাইস্যা মরি ...
মণি’র বাপ –
একটু জিরান । মাথা খারাপ কইরেন না –
নারে মালতী , মাথা ঠিক’ ই আছে – তাইলে হুন খবর –
সাই সাই মোটর গাড়ি , ছুইট্যা যায় ছুইট্যা যায় -
ভিতরে মহাভারত , হুনছস তো হেইড্যা - একা দ্রৌপদী আর পঞ্চ পাণ্ডব ।
বাইরে ব্যাবাক রাজ অবতার !
হাজার আলোয় ভেতরে জ্বলত্যাছে একা কমলা ।
কামুকের ক্ষিধ্যায় বিধ্বস্ত মাইয়্যা লোকের ভূষণ- আমাগো জন্মের অধিষ্ঠাত্রী।
মালতী ,
বুক ধইরা আসে - ভাইঙ্গা তছনছ হইয়া যায় –
চোখ ঠেইল্যা আইসে বটতলা ছুইয়া আলপথ ।
আমাগো মণি ।
খুবলানো গতর , থ্যাতলানো মাথা
হা’কইররা আছিল শুন্যে তাকাইয়া –
ওর চোখ’ডা বন্ধ কইররা দিছিলাম – আমি যে ওর বাবা।
আগুন দিছিলাম আমি – আজও দিমু ...।
মালতী ,
বসন প্যাচাইয়া মশাল জ্বালা – মোমবাতির কাম নাই
চল বটতলা ছুইয়া আলপথ ,
সব মণি’র লাইগ্যা রাজ অবতারে আগুন দিমু
দেহি কদ্দিন চুপ থাকে রাজপথ ।
উত্তরবঙ্গ ।