অভিলাষা দাশ গুপ্তা









আজকের আমরা

আমরা আধুনিক ভারতবাসী, কবেকার কোন শিশুকালে পড়েছিলাম,
আমরা নাকি পরাধীন ছিলাম, আজ কেবল স্মৃতিচারণ হয় তার,
ইতিহাস, গল্প, লোকগাঁথা, কত কথাই না বলে।
তারও পরে শুনি, অনেক বছরের অহিংস, সহিংস, সংগ্রামের ফল.
আজকের এই গনপ্রজাতন্ত্রী ভারত…
পঁয়ষট্টি বছর হয়ে গেল, এ প্রজাতন্ত্রের, তবু নাবালকত্ব ঘুচেছে কি?
ইংরেজ জাতিকে তাড়িয়ে -ইংরেজদের মাতৃভাষাটা আজও আঁকড়ে আছি,
আধুনিক নাগরিক সমাজে আজও বিদেশী আগ্রাসন,
উপেক্ষিত প্রহর গোনে আমার মা,মাতৃভাষা,আমার দেশ।
মেকি রাজনীতিকের অশ্লীল শব্দের হুংকারে ,
মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে,নাটুকে সমবেদনার ভাষণে,
মুখরিত হয় সংসদের দেওয়াল,গ্রাম থেকে শহর,শহর থেকে নগর,
আসমুদ্র হিমাচলের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত, বিনা প্রতিবাদে,বিনা প্রাপ্তিতে।
দেশভক্তি নিলাম হয় বিক্ষোভে,বিদ্রোহে, গণঅভু্যথ্থানে,শূণ্য মূল্যে।
আজও দেশে অনাহার-অর্ধাহার, অশিক্ষা, অসম শ্রেণী বিভাজন,বেকারত্ব,
তাই এ ভারতে আজ মহাভারতের দ্রৌপদী দামিনী হয়,
কীচক কংসরা মহাভারতের পাতা থেকে জীবন্ত নেমে আসে ।
হৃদয়মাঝে বারবার আত্মাহুতি দেয় প্রজাতন্ত্রের অর্থহীন সংজ্ঞা,
অপমানে, অবহেলায়, লজ্জায়, ঘেণ্ণায়।
শুধু বছরে দু’দিন দেশের অনগ্রসর অঞ্চলের অপুষ্টিতে ভোগা,
অর্ধাহারে থাকা কচি কণ্ঠগুলো
দু’টো জিলিপি, আধহাতা খিচুড়ী কি আধমুঠো বোঁদের লোভে
অর্থ না বুঝেই জননেতাদের কণ্ঠে কন্ঠ মেলায়-
“বন্দেমাতরম! মেরা দেশ মহান হ্যায়! ”
বাকি ৩৬৩ দিন? প্রজাতন্ত্রকে ভুলেই থাকি আমরা।
সত্যি, আমরা না বড় বেশী মাত্রায় আধুনিক হয়ে গেছি ।।

কলকাতা ।


Previous Post Next Post

বিজ্ঞাপন