অপরাজিতা !!
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আর
বঙ্গোপসাগরের বুকে সদ্য মেতে ওঠা
পঞ্জিভুত জলবায়ু’ র উন্মুক্ততায় ,
আকাশ বেঁয়ে হিল্লোলিত হয়ে ঝরছে
অকাল মাদকতা ।
মধ্য পৌষের গহীন এই নৈশ্যতায়
চোখেরা ক্লান্তি বলেই
ঘুমিয়ে যাওয়া শরীরের শিরা উপশিরায়
নেমে আসে চঞ্চলতা , বাড়ে
মিলনের উদ্গ্রিবতা ।
বজ্রের ক্ষিপ্রতায়
আড়ষ্ঠ ভেঙ্গে জেগে ওঠা চোখে দেখি
খিল খোলা দরজার - পর্দা বেঁয়ে নেমে আসা পৌষের বাতাস ,
শিহরিত হয় - অসমাপ্ত ক্যানভাসে তোমায় ভেবে আঁকা
শিরোনামে ‘ অপরাজিতা ‘ ।
অপরাজিতা’র টানা টানা চোখে ভাসে
উদ্বেলিত সাগরের সঙ্গম । সঙ্গমে স্ফীত হয়ে আসা -
স্তুপাকৃত ঢেউ গুলি, বিড় বিড় করে নেমে আসে
ওর সরু ফালি ওষ্ঠে ,
এলিয়ে যায় ওর শরীরী শৃঙ্খলতা ।
মেটে রঙে আঁকা সরু ঠোঁটে – পাগলের মতো
প্রতিস্থাপিত করি আমার ঠোঁট
প্লাবিত আমাদের মুখ মণ্ডল, স্তব্ধ
আমাদের অহংকার । অবশেষে -
পরাজিত আমাদের গোপনীয়তা ।
চতুর হাওয়ার বদন্যতায় , হঠাৎ নিভে যায় সলতে পোড়া দীপ
আঁধারে হারিয়ে যায় উত্তাল সমুদ্রের গভীরতা ,
শীতলতায় গুটিয়ে যাই আমি
বিছানায় সংকুচিত হয়ে আসা পাশ বালিশটায় – গুজে দেই মুখ
চোখে’রা না হয় আরও একবার ঘুমাক ,
যদি ফিরে আসে অপরাজিতা ।
( সুনীলে' র সৃষ্টি' তে অনুপ্রাণিত )
উত্তরবঙ্গ ।
